অনলাইন ডেস্ক: ওসি আবার কখনো বা পরিচয় দিত পুলিশ সুপারের (এসপি)। হোয়াটস অ্যাপেও নিজেদের নাম্বারে ব্যবহার করতো পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি। ভুয়া পরিচয়ে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলে প্রতারণা করতো প্রবাসীদের সাথে। এমন প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারক চক্রের মূল হোতা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাজী বাড়ি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ভাই কাজী টিপুসহ ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।
পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার পর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী শেখ মোরশেদ আহমদের সাথে পরিচয় হয় কাজী অপু ও কাজী টিপুর সাথে। এক পর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মোরশেদকে দিয়ে ১৯ লাখ টাকা দিয়ে ৩টি মাইক্রোবাস (নোহা) গাড়ি ক্রয় করায় তারা। ক্রয়কৃত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা বলে গত ৩০ জুন মোরশেদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন অপু ও তার ভাই। এরপর থেকে টালবাহনা শুরু করেন তারা। গত ২৭ আগস্ট কাজী অপু একটি মাইক্রোবাসের বিক্রয়ের বায়নামাপত্র দেন শেখ মোরশেদকে।
ওই কাগজপত্রে বিআরটিএ কর্মকর্তার দেয়া স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি অবগত হতে পারেন ক্রেতা। এরপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি ও সিলেটের পুলিশ সুপার সেজে ফোনে শেখ মোরশেদকে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ ও ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপে ওসি ও এসপির ছবি সংযুক্ত করে রাখায় প্রথম দিকে শেখ মোরশেদ প্রতারণার বিষয়টি টেরই পাননি। পরে কাজী অপু ও তার ভাই কাজী টিপুর কারসাজির কথা বুঝতে পেরে বুধবার ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন শেখ মোরশেদ। পুলিশ কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, কাজী অপু এডিট করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি যুক্ত করে মানুষের সাথে প্রতারণা করতো। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে তাকে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান মো. লুৎফর রহমান। বিডি প্রতিদিন
মতিহার বার্তা ডট কম: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.